বেনাপোলে স্থলবন্দরে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে এতে বিপাকে করেছেন বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কারক ব্যবসায়ীরা আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত রাজস্ব এবং বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
কোনো পূর্ব ঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সন্ধ্যা ৬টার পর সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ অবস্থায় দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। দুই দেশের সীমান্তে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকরা।
গত এক সপ্তাহ ধরে স্থলবন্দর দিয়ে সন্ধ্যা ৬টার পর সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানিয়েছেন।
বেনাপোল কাস্টমস এ সিন্ধান্ত নিয়েছে বলে বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরাও জানিয়েছেন। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলছেন, এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে ঠিক, তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, কয়েকদিন আগে আমাদের সঙ্গে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের একটি বৈঠক হয়েছিল। তারা প্রস্তাব করেছিল সন্ধ্যা ৬টার পর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার জন্য।
আমরা বলেছিলাম, বন্দর ব্যবহারকারী সবার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানানো হবে। এ বিষয়ে জানতে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার খালিদ মো. আবু হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এখানে যোগদানের পর থেকে তিনি সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলছেন না। কাস্টমস হাউজের কোন কর্মকর্তাকেও দায়িত্ব দেননি সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার। বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেনাপোল বন্দরে আগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৪৫০ ট্রাক পণ্য প্রবেশ করলেও এ সিদ্ধান্তের পর তা কমে ১৮০ থেকে ২০০টিতে নেমে এসেছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম বলেন,পূর্ব ঘোষণা ছাড়া সন্ধ্যার পর বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করায় ব্যবসায়ীরা হতবাক। দুই পাশে শত শত ট্রাক আটকে আছে। কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে সরকার ও বন্দরের ব্যবসায়ীরা তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা বিকল্প হিসেবে ভোমরা, হিলি বা সোনামসজিদ মুখী হতে বাধ্য হবে। এতে সরকারের রাজস্বও কমে যাবে।বেনাপোলে বন্দর ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট পক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসায়ী, কর্মচারী এবং সরকারও।
তিনি বলেন, তারা কাস্টমস কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রতিদিন অন্তত ৪০০-৫০০ আমদানিমুখী ট্রাক প্রবেশ নিশ্চিত করা জরুরি।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশের এই একতরফা সিদ্ধান্তে ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দুই দেশের বাণিজ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
পেট্রাপোল বন্দরে প্রতিদিন ট্রাক জটের মধ্যে পড়ছি। প্রতিদিন হাজারেরও বেশি ট্রাক পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন পেট্রাপোল বন্দরে। বিগত সময়ে রাত ১২টা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি চালু ছিল।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, আমরা বন্দর পরিচালনা করি। তবে কাস্টমস অনুমোদন ছাড়া কোনো পণ্য ক্লিয়ার করা সম্ভব না।
          
            






























আপনার মতামত লিখুন :